Saturday, June 28, 2025

পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপড়ে ফেলতে হবে : চরমোনাই পীর

আরও পড়ুন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপড়ে ফেলতে হবে। আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। পতিত সরকার ও প্রতিবেশী দেশ মিলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে চক্রান্তে মেতে উঠেছে।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্লবীস্থ হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্লবী থানা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকার দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ ও অকার্যকর করার জন্য শেখ হাসিনার নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছেই। সংখ্যালঘু নির্যাতনের অজুহাত, জুডিশিয়ারি ক্যু, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন, আনসার আন্দোলন, পুলিশের অসহযোগিতাসহ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর রোকেয়া প্রাচীসহ কিছু উচ্ছিষ্টভোগীর উসকানিমূলক কথাবার্তা সরকারকে অস্থিতিশীল ও ব্যর্থ করার অপচেষ্টার অংশ ছাড়া কিছু নয়। এখন নতুন করে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল চুরির মতো সামান্য ঘটনাকে পুঁজি করে সংঘাত-সংঘর্ষের মাধ্যমে পাহাড় অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে। এর পেছনেও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও প্রতিবেশী দেশের ষড়যন্ত্র কাজ করছে।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

চরমোনাই পীর আরও বলেন, পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপড়ে ফেলতে হবে। কোনো প্রকার ছাড় নয়। তেমনিভাবে প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা কর্মচারীরা এখনো কাজে যোগদান করেনি, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রব্যমূল্যের বাজার সিন্ডিকেটে এখনো পতিত সরকারের প্রেতাত্মারা রয়েছে, এদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ বলেন, নির্বাচনকে সন্ত্রাস ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত করতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। অর্থাৎ মানুষ ব্যক্তিকে নয়, বরং প্রতীককে ভোট দিয়ে সংসদে সংখ্যানুপাতিক হারে প্রতিনিধির ব্যবস্থা করা। এতে করে মাদক ও খুনিরা নির্বাচিত হতে পারবে না।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রলীগকর্মীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও ভারতকে ছাড় দেওয়া হবে না। পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ভারত ও পতিত শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে।

ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে চক্রান্তের প্রতিবাদ এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুনঃ  হেলিকপ্টারে মাগুরা যাওয়া নিয়ে সারজিস বললেন ‘সিট খালি ছিল’

সংগঠনের পল্লবী থানা শাখার সভাপতি আলহাজ গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন- দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, সহকারী মহাসচিব ও উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। বক্তব্য রাখেন- হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, মুফতী মুহাম্মদুল্লাহ আনসারী, মাওলানা হাম্মাদ বিন মোশাররফ, সোহরাব হোসেন ফজলে প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ