Wednesday, June 25, 2025

দুর্ঘটনা রোধে মাটিরাঙ্গার সড়কে বিশেষ আয়না

আরও পড়ুন

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা-তানাক্কাপাড়া সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে বাঁকে সওজ (সড়ক ও জনপথ) বিভাগের উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ উত্তল দর্পণ (সড়ক আয়না)। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলার প্রতিটি সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে উত্তল দর্পণ স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে তাইন্দং পর্যন্ত পাহাড়ের কোল ঘেষে আঁকাবাঁকা সর্পিল পাহাড়ের পিচঢালা পথের ৪৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য মাটিরাঙ্গা-তানাক্কপাড়া সড়কে রয়েছে অসংখ্য বিপজ্জনক বাঁক। বিশাল জনবহুল এলাকা তাইন্দং ও তবলছড়ি ইউনিয়নসহ দীর্ঘ সড়কে রয়েছে ৭টি ইউনিয়ন। ও একটি সম্ভাবনাময় ভগবান টিলা পর্যটন স্পট রয়েছে। ছোট বড়সহ প্রতিদিন কয়েকশ যানবাহন চলাচল করে এ সড়কে।

এ পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত নিহতের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। আঁকাবাঁকা সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের আওতায় মাটিরাঙ্গা-তানাক্কাপাড়া সেকশনে ৬টি স্থানে উত্তল দর্পণ লাগিয়েছে। তাছাড়া জালিয়াপাড়া সেকশনে ৫টি, সাপমারা জিরো মাইল সেকশনে ৫টি, জালিয়াপাড়া রামগড় সেকশনে ৫টি, লাগিয়েছে খাগড়াছড়ি সওজ।

আরও পড়ুনঃ  মাথাপিছু জিডিপিতে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাটিরাঙ্গা থানা অতিক্রম করার পরের আঁকাবাঁকা বাঁকে স্থাপন করা হয়েছে একটি উত্তল দর্পণ। গোলাকার আকৃতির উত্তল দর্পণ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোয় সহজেই নজর কাড়ছে যানবাহনের চালকদের। এতে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠছে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের গতি ও ছবি, যা দুই প্রান্তের চালকদেরই সহজ সতর্কবার্তা প্রদান করায় উভয়েই তাদের গতি নিয়ন্ত্রণে এনে বাঁকগুলো পেরিয়ে নিরাপদে পৌঁছে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। ব্যস্ততম এ সড়কে উত্তল দর্পণের সুবিধা পেয়ে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের পাশাপাশি অনেকটাই খুশি ওই রুটে বাস, ট্রাক, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রীরাও।

আরও পড়ুনঃ  বাড়ি ফেরার পথে প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লী*লতাহানির চেষ্টা, অতঃপর...

শান্তি গাড়িচালক মো. মনির হোসেন বলেন, মাটিরাঙ্গায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক বেশি। এ এলাকায় প্রায় সময় অন্য গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এখন উত্তল দর্পণ স্থাপন করায় অনেক দূরে উভয় পাশের গাড়ি দেখা যায় এতে করে দুর্ঘটনার এড়ানো সম্ভব হবে।

সিএনজিচালক মো. জসিম মিয়া বলেন, এ সড়কে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। পাহাড়ে গাড়ি ওঠানামা করার সময় রাস্তার ওপাশে যানবাহন দেখা যায় না ফলে ঘটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। উত্তল দর্পণ লাগানোর ফলে দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

সড়তে দুর্ঘটনা কমাতে উত্তল দর্পণ স্থাপন করা সওজের একটি প্রশংসনীয় উদ্যেগ জানিয়ে মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক আব্দুর রহিম কালবেলাকে বলেন, সওজের উত্তল দর্পণ স্থাপনের উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। তবে পুরো উপজেলা যেসব স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। যেখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনেকের প্রাণহানি হচ্ছে, জনস্বার্থে উপজেলার প্রতিটি সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে উত্তল দর্পণ স্থাপনে সওজ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়ার জেরে ‘নাপা খেয়ে’ আত্মহত্যার চেষ্টা ঢাবি ছাত্রীর

খাগড়াছড়ি সওজ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, মাকসুদুর রহমান (চ.দা.) কালবেলাকে বলেন, সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্ঘটনা রোধে নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে সওজ। এরই একটি অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে উত্তল দর্পণ স্থাপন করা হয়েছে। দর্পণগুলো ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টি হলে পর্যায়ক্রমে উপজেলার প্রতিটি সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে উত্তল দর্পণ স্থাপন করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ