Thursday, May 1, 2025

তেঁতুলিয়ায় আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন

আরও পড়ুন

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে থেকে বিকেল পর্যন্ত সিপাহীপাড়া বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আহতরা হলেন- বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সোহরাব আলী (৩৬), আরিফ হোসেন (২৩), হিমেল (৪৯), জাফর আলী (৪৫), আইয়ুব আলী (৩৬), তিরনইহাট ইউনিয়নের আশিকুর রহমান (২৮), আজিজুল হক (৪৫), চিলমারী এলাকার ফরিদুল ইসলাম (৩২)। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সোমবার দুপুরে স্থানীয় এক বিএনপি সমর্থক হোটেল ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলনের সমর্থকেরা। এ সময় বিএনপির সমর্থকরা এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ১৪ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ  চারপাশে পানি, রান্নাঘরের মেঝেতেই মাকে সমাহিত করলেন সুকুমার

আটককৃতরা হলেন- তিরনইহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আহসান হাবিব, জিয়ারুল, আনছার আলী, আনিছুর রহমান, ইউসুফ পাভেল, বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের রুস্তম মাহমুদ ও আব্দুর রহমান।

এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব রাশেদ আলী সরকার বাংলা বলেন, মিলন চেয়ারম্যানের ভাড়াটে লোকজন দুপুরে সিপাইপাড়া বাজারে শোডাউন দিয়ে বেড়াচ্ছিল। এক পর্যায়ে তারা আমাদের লোকজনের দোকানপাটে হামলা চালায়। তা ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আরও পড়ুনঃ  এক মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আরেক মেয়েকে নিয়ে ট্রেনে কাটা পড়লেন মা

বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কুদরত-ই-খুদা মিলন কালবেলাকে জানান, অনেকদিন ধরে আমি ও আমার পরিবার এলাকার বাইরে অবস্থান করছি। সোমবার দুপুরে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের পর লুটপাট করেছে। ঘরের টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। ঘর থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা, আট ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করেছে তারা। সেই সঙ্গে আমার ব্যবহৃত গাড়ি ও একটি ট্রাক্টরে আগুন দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  মামলার আসামি হলেন ক্যান্সারে মারা যাওয়া ছাত্রলীগ নেতা

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি সুজয় কুমার রায় কালবেলাকে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পাঁচটি রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে সাত জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে তিন জন সংঘর্ষে আহত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ