বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে পানিপ্রবাহে বাঁধ নির্মাণ। সম্প্রতি কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়া ত্রিপুরায় ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়। ভারতের এ রকম আগ্রাসী কর্মকাণ্ড রুখে দিতে ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে ছাত্রজনতার লংমার্চ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে এই যাত্রা শুরু করে ছাত্রজনতা।
যাত্রাপথে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় একটি পথসভা এবং জুমার নামাজের পর কুমিল্লার চান্দিনায় আরেকটি পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরবর্তীতে বিকেল ৪টায় টাউন হলে একটি মহাসমাবেশ ও এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিবির বাজার সীমান্ত পর্যন্ত পদযাত্রা করার কথা জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
এ বিষয়ে ইনকিলাব মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, আমাদের সংগঠনের ১০টি ট্রাক ও সাধারণ জনগণের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার এবং হায়েস গাড়ি নিয়ে আমরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে সকাল ১১টায় রওনা দিয়েছি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের পানি সন্ত্রাসসহ সব ধরনের আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদসরূপ আমাদের এই লংমার্চ।
গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই লংমার্চের রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান বিন হাদী।
এসময় ইনকিলাব মঞ্চ কয়েক দফা দাবি জানায়। সেগুলো হলো – অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে; জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন-১৯৯৭ তে অতিসত্বর অনুস্বাক্ষর করা। এ কনভেনশন অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানের দেশের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে হবে; আন্তঃসীমান্ত নদীর নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে হবে; ৫৪ টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিবণ্টনে সব পন্থাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং ভারতের সব অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।