Monday, March 17, 2025

দ্রুত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করুন

আরও পড়ুন

বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
অন্তর্বর্তী সরকার কী চায়, জনগণ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় তা জানার জন্য অতিদ্রুত বর্তমান সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় বসা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ঢালাওভাবে মামলা না করার আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ঢালাওভাবে মামলা যাতে না হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলব, আপনারা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করুন। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদেরও আহ্বান জানাব, এমন কোনো মামলা করবেন না যাতে সারবস্তু থাকবে না।

আরও পড়ুনঃ  নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, আমরা একটা ক্রান্তিকাল পার করছি। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। সরকারকে সহযোগিতা না করলে কিন্তু সেটা হবে না। মনে রাখতে হবে, গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া পরিবর্তন হয় না। এই সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময় দিতে চাই।

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে ছাত্রজনতার বিপ্লব নস্যাতের চক্রান্ত হচ্ছে। কিছু অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ভারত থেকে। যারা সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াত আমিরের সঙ্গে সমমনা জোট সমন্বয়কের মতবিনিময়

ফখরুল অভিযোগ করেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ফের পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। অথচ গত ১৫ বছরে বিএনপির প্রত্যেকটি নেতাকর্মী নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারান্তরীণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশান্তরিত করা হয়েছে। এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি।

জামায়াত-শিবিরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই। যারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে তারা রাজনীতি করবে এটা তাদের অধিকার।

অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে কোনো বিরাজনীতিকরণের লক্ষণ দেখতে পাচ্ছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখছি না। আমি সতর্ক করছি। কিছু ফেস দেখছি, যাদের আমরা কোনোদিন দেখিনি, হঠাৎ করেই তারা মিডিয়াতে ফ্রন্ট পেজে চলে আসছে। তাদের বক্তব্য, তাদের থিউরি- এগুলো আপনারা প্রচার করছেন। আমার কাছে মনে হয়, এটি সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভালো বিষয় নয়। আমি নাম বলতে চাই না, যাদের কোনোদিনই দেখলাম না, তারা হঠাৎ করেই ফ্রন্ট পেজে চলে আসছে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের তো আমরা চিনি না, তাদের বক্তব্য কী, কী করতে চান? সেটাও বুঝি না। দেশের মানুষও বোঝে না

আরও পড়ুনঃ  ক্ষমতায় থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে হাসিনা : প্রধান উপদেষ্টা

সর্বশেষ সংবাদ