বগুড়ার সোনাতলায় শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে নিহত সাব্বির হাসানের বাবা শাহিন আলম বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
সাব্বির হাসান গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা গ্রামের শাহিন মিয়া ও পাশের সুখানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ভোকেশনাল শাখার ছাত্র।
মামলায় বগুড়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও তার ছেলে সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন সজল এবং সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ২০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবীন আনোয়ার, দিগদাইড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিরঞ্জন চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলম সোহেল, দিগদাইড় ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান পলাশ, সোনাতলা ঘোড়াপীড়স্থ ডা. ওসমান আলীর ছেলে মিনহাজুল ইসলাম।
মামলায় বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে উপজেলার সৈয়দ আহম্মদ কলেজ স্টেশন এলাকায় ছাত্র-জনতা ও দুর্বৃত্তদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় একদল উচ্ছৃঙ্খল বহিরাগত যুবক স্থানীয় মেসার্স পার্বতী সেমি অটোরাইস প্রসেসিং সর্টার মিলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পড়ে ওই স্কুলছাত্র নিহত হয়। এরপর ওই স্কুলছাত্রের স্বজনরা তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন কাজ সম্পন্ন করে।
এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আনোয়ার বাদশা বলেন, সোনাতলা থেকে ঘটনাস্থল ১৭/১৮ কিলোমিটার দূরে। ওই সময় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লিটন, সাখাওয়াত হোসেন সজল এলাকায় ছিলেন না। তারপরেও তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।