Saturday, June 28, 2025

ঘুরে দাঁড়াতে হবে, সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না : ফখরুল

আরও পড়ুন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমাদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে। ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থা তো প্রধানমন্ত্রীই বাতিল করেছিলেন। এখন আবারও আদালতকে ব্যবহার করে একটা ইস্যু বানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। একটা কথা বলতে চাই, আমাদের সবাইকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আমলা আর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তারা আমলানির্ভর ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। গতকাল তাদের সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদী চরিত্র দেখেছি।

আরও পড়ুনঃ  মুক্তির পর খালেদা জিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ পৈশাচিক নির্যাতন করত। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সেটিই করছে। তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে। অথচ শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত।

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ যা করেছে তা পাকিস্তানিদের চেয়ে কোন অংশে কম কি না, সেই প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা হাসপাতালে গিয়ে হামলা চালিয়েছে। স্বাধীনতার আগে পাকিস্তানের ছাত্র সংগঠন এনএসএফ পৈশাচিক নির্যাতন করত। বর্তমানেও ছাত্রলীগ সেটিই করছে। তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াত আমিরের সঙ্গে সমমনা জোট সমন্বয়কের মতবিনিময়

তিনি বলেন, ঘৃণা এবং ক্ষোভের সঙ্গে বলতে হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের অবস্থা ভয়াবহ। দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র নেই। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র নির্বাসিত করেছে। দেশকে পরনির্ভরশীল অর্থনীতিতে পরিণত করেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এখন সবার উচিত আন্দোলন করা। আমাদের সন্তানদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এই সময়ে রুখে দাঁড়াতে না পারলে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকার তো প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন। যিনি রাগ করে কোটা বাতিল করেছিল তিনিই আবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আবেগে নাকি কোটা বাতিল করেছেন! তাহলে বুঝেন কী অবস্থা?

আরও পড়ুনঃ  ফাঁস হলো আ. লীগ পুনর্বাসনের গোপন চক্রান্ত!

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, মশিউর রহমান যাদু মিয়া ছিলেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। ডান-বাম সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন তিনি।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, নূর মোহাম্মদ খান প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ