Sunday, August 17, 2025

সিরাজগঞ্জে হামলার আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছে মানুষ, সরিয়ে নিচ্ছে আসবাবও

আরও পড়ুন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কুলিয়ারচর ও বাগধনালী গ্রাম দুই মাস ধরে একের পর এক সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দুই গ্রামের প্রভাবশালী দুই ব্যক্তি, আজম রিদাউ ও লিয়াকত হোসেন, এর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ, হামলা ও লুটপাটের ভয়ে কুলিয়ারচর গ্রামের অনেক বাসিন্দাই বাড়িঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় আসবাবপত্র ও গবাদি পশু সরিয়ে নিচ্ছেন। কেউ ভ্যান বা রিকশায়, কেউবা মাথায় করে জিনিসপত্র বহন করছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এরা কেউ নদীভাঙনের শিকার নন, বরং সহিংসতার শিকার।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে জামায়াত ইসলামীর প্রতিবাদ সভায় গুলি, আহত ১২

গত মঙ্গলবার দুই গ্রামের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় কুলিয়ারচর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। এ ঘটনার পরপরই বাগধনালী গ্রামের লোকজন কুলিয়ারচরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এর পর থেকেই পুরো গ্রামে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কুলিয়ারচরের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, আজম রিদাউয়ের নেতৃত্বে একটি বাহিনী গঠন করে তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি ও দখলদারি চালিয়ে আসছিল। তারা দাবি করছেন, এই সহিংসতায় যারা জড়িত, তাদের বিচার ও ফাঁসি হওয়া উচিত।

আরও পড়ুনঃ  পাকিস্তানে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

অন্যদিকে, স্থানীয়রা বলছেন, দুই গ্রুপের কেউই আপস করতে রাজি নয়। গ্রামে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ফিরিয়ে আনা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।

এই দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষে থানায় ও আদালতে মোট ২৫টি মামলা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, দুই প্রভাবশালীর ইন্ধনে গ্রামবাসীরা সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত কাউন্সেলিং চালু রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, “এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হবে। এছাড়া যারা সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলাও নেয়া হবে। অপরাধীরা যেই হোক, তাদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনা হবে।”

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় পাকিস্তান

তিনি আরও বলেন, “আমরা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু দেখা যাচ্ছে এক পক্ষ মেনে নিলেও অন্য পক্ষ উসকানি দিচ্ছে। এভাবে সংঘর্ষ বারবার জ্বলেই উঠছে।”

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ