ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বজ্রপাতে ইমন মোল্লা (১৪) নামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তবে দাফনের প্রস্তুতিকালে ‘নড়েচড়ে ওঠার’ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমন ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দেওড়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার শারিস্তাবাদ গ্রামের বাসিন্দা কালাম মোল্লার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল বেলা ভাঙ্গাসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় মাঠে কাজ করছিলেন ইমনের বাবা। বাবাকে ডাকতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয় ইমন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার শিকার মদ-ভর্তি প্রাইভেটকার, লুটেপুটে নিল জনতা
পরে ইমনের মরদেহ বাড়িতে নেওয়া হয়। গোসল করানোর সময় হঠাৎ তার দেহ ‘নড়ে ওঠে’ বলে স্বজনরা দাবি করেন। এ ঘটনায় অনেকে ধারণা করেন, ইমন হয়তো এখনো বেঁচে আছে। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেও চিকিৎসকেরা ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের বলেন, ইমনকে আমাদের হাসপাতালে আনা হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা তাকে মৃত ঘোষণা করি। পরে শুনি, তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি শুনে আমিও কিছুটা বিস্মিত হয়েছিলাম। পরে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হই, ইমন আর বেঁচে নেই।