Monday, August 18, 2025

কামরুল আদালতে এলেই পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া করেন : পিপি

আরও পড়ুন

রাজধানীর লালবাগ থানার মো. আলী হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন। এদিন ঢাকার সিএমএম আদালতে সকালে কারাগার থেকে হাজির করা হয় বেনজীরকে। এরপরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতের এজলাসে তোলেন পুলিশ। আদালতে তোলার সময় লিফটে না তুলে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কামরুল ইসলাম। তিনি একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘ইতরামির একটা সীমা আছে, ফাজলামো পেয়েছেন নাকি?’

আরও পড়ুনঃ  সাতক্ষীরায় স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন স্ত্রীও

কামরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘আদালতের লিফট কি নষ্ট? এতো উপরে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটানো হচ্ছে কেন? জানতে চেয়ে একপ্রকার চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। এসময় পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া আইনজীবীরা বলতে থাকেন, ‘আদালতে আপনারা লাগিয়েছেন তো নষ্ট লিফট।’ এরপর কামরুলকে পুলিশ সদস্যরা সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় হাত ধরে সহায়তা করেন। এরপরে আদালতে শুনানি শেষে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

কামরুল ইসলামকে আদালতের লিফটে না তুলে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়ায় প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘লিফটের সামনে অনেক সময় বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ, আইনজীবীদের ভিড় থাকে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে, কোনো রকম ঝামেলা এড়াতে অনেক সময় সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়।’

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার ‘নাতি-নাতনি’ কোটা

পিপি ফারুকী আরও বলেন, ‘আর আদালতে এলেই তিনি পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া করেন। কখনো আইনজীবীদের সঙ্গে ঝগড়া করেন। আবার কখনো উচ্চবাচ্য বক্তব্য রাখেন। এটা উনার স্বভাবজাত অভ্যাস।’

নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই লালবাগ থানার আজিমপুর কলোনি এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মোহাম্মদ আলী। ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর লালবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ