Monday, August 11, 2025

কত কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ভয়ংকর ‘দানা’

আরও পড়ুন

বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন- ঘূর্ণিঝড় দানা সমুদ্রে থাকা অবস্থায় অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা Very Severe Cyclonic Storm-এর শক্তি অর্জন করতে পারে। যা ১২০ থেকে ১৬৬ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসতে পারে।

এ বিষয়ে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্যচিত্রে দেখা যাচ্ছে- ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে যে ঘূর্ণ্যমান মেঘের সৃষ্টি হচ্ছে- তার অগ্রবর্তী অংশে অবস্থিত একটি ভারি বৃষ্টিযুক্ত একটি অংশ আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার পর থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর ওপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা

তিনি আরও জানান, আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে- ঘূর্ণিঝড় ডানা ওড়িশা রাজ্যের পুরী ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মধ্যবর্তী উপকূলের ওপর দিয়ে আগামী ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল ৬টার মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ওড়িশা সীমানার কাছে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় দানার কেন্দ্রটি এবং ২৪ অক্টোবর রাতে বা ২৫ অক্টোবর সকালে ঝড়টি ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে। সমুদ্রে দীর্ঘ সময় থাকায় ঝড়টি প্রাথমিক পূর্বাভাসের থেকে বেশি শক্তিশালী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি প্রায় ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার ছুঁতে পারে। তেমন হলে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই শুরু হবে হাওয়ার দাপট। রাত যত বাড়বে তত বাড়বে ঝড়ের তাণ্ডব। শুধু তাই নয়, ঝড়ের শক্তিশালী দিকটি পশ্চিমবঙ্গের দিকে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে উপকূলবর্তী সমস্ত জেলা ও তার লাগোয়া জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বা তার বেশি বেগে হাওয়া বইতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  ড. ইউনূসকে স্বাগত জানাবে বিএনপি, বিক্ষোভের প্রস্তুতি আ. লীগের

এদিকে বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানা মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, পায়রা সমুদ্র বন্দর হতে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে দিকে অবস্থান করছিল।

সংস্থাটি আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের ভেতরে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার (১ মিনিট স্থিতি), যা দমকা হাওয়া আকারে সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, সাগর ওই স্থানে বেশ উত্তাল আছে

আরও পড়ুনঃ  ভারতে পালানোর সময় ৪ বাংলাদেশি নারী আটক

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদে যেতে বলা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ