Monday, August 11, 2025

আদালতে অঝোরে কাঁদলেন ব্যারিস্টার সুমন

আরও পড়ুন

যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজ রেস্তোরাঁর সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ৫ দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিন আদালতে অঝোরে কান্না করেন ব্যারিস্টার সুমন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার (সিএমএম) আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীর উদ্দেশে কথা বলতে চান সুমন। তবে ওমর ফারুক তাকে এড়িয়ে যান। এ সময় সুমন বলেন, আপনার সঙ্গে আলাদা করে কিছু বলব না স্যার। আপনার মাধ্যমে সব আইনজীবীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি খুব সরি স্যার।

আরও পড়ুনঃ  ৭ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল হালিম আদালতে সুমনের ১০ রিমান্ড আবেদন করেন।

এ সময় আসামির রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার পক্ষের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন একজন মেধাবী আইনজীবী। আইন পেশার পাশাপাশি তিনি একজন সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিন আবেদনের ঘোর বিরোধিতা করে আসামির সর্বোচ্চ রিমান্ড প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন জনগণের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বারংবার প্রতারণা করেছেন। লোকদেখানো সমাজসেবার আড়ালে তিনি সবসময় ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপি-জামায়াত দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে তৎপর’

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। ব্যারিস্টার সুমন এ মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ