Saturday, June 28, 2025

তাপস পালিয়ে যাওয়ার পর পূজা হচ্ছে কলাবাগান মাঠে

আরও পড়ুন

তিন বছর পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে আয়োজন হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এর আগে ২০২১ সালে হঠাৎই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই মাঠে পূজার আয়োজন।

পূজা উদযাপন কমিটি জানায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস মাঠ নষ্ট হওয়ার অজুহাতে পূজা বন্ধ রেখেছিল। যদিও ২০০৭ সাল থেকে এই মাঠে পূজার আয়োজন হয়ে আসছে।

কলাবাগান পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পার্থ প্রতিম দাস জানান, ‘ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, নিউমার্কেট ও আশপাশের এলাকার প্রায় ৬০ হাজার হিন্দু অধিবাসীর জন্য কোনো মন্দির না থাকায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে ২০০৭ সাল থেকে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। তবে ২০২১ সালে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি থাকলেও সিটি করপোরেশন অনুমতি দেয়নি। ৩ বছর পর এবার আমরা কলাবাগান মাঠে দুর্গাপূজার অনুমতি পেয়েছি।’

আরও পড়ুনঃ  হাসনাতের স্ট্যাটাসের পর দেশবাসীর উদ্দেশে যা বললেন জামায়াত আমির

সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলিপ চৌধুরী বলেন, ‘নতুন ঢাকার পূজা বলতে এই কলাবাগান মাঠের পূজা দিয়েই শুরু হয়েছিল। ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই মাঠে পূজা উদযাপন করেছি। দীর্ঘ ১৪ বছর পর ২০২১ সাল থেকে পূজা করার অনুমতি দেয়নি। ৩ বছর পর এবার কলাবাগান মাঠে পূজা করার অনুমতি পেয়েছি। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি বর্তমান সরকার এবং প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতাও পাচ্ছি। এই মাঠে পূজা করতে পেরে এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষও অনেক আনন্দিত।’

আরও পড়ুনঃ  আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

উল্লেখ্য, আগামী ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) বুধবার দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও মহাষষ্ঠি পূজার মাধ্যমে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ আশ্বিন (১০ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দুর্গাদেবীর মহাসপ্তমী, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) শুক্রবার মহাষ্টমী, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) শনিবার মহানবমী এবং ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) পূজা হবে। দশমীর দিন পূজা সমাপন ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, এবার সারা দেশে ৩২ হাজারের বেশি স্থায়ী ও অস্থায়ী মণ্ডপে দুর্গাপূজা হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে পূজা হবে ২৫৩টি মণ্ডপে। ইতোমধ্যে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি শেষপর্যায়ে। পূজামণ্ডপগুলোয় প্রতিমা নির্মাণ, প্যান্ডেল স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম আরও আগেই শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  রংপুর বিভাগে দিনে-রাতে বিদ্যুৎ মিলছে ৮ ঘণ্টারও কম

সর্বশেষ সংবাদ