Thursday, March 20, 2025

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে আজহারীর পোস্ট

আরও পড়ুন

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। তবে সংস্কারের নামে দেশের অধিকাংশ মানুষের মূল্যবোধ বিরোধী কোনো নীতিমালা কিংবা আইন যেন প্রণয়ন করা না হয়; সেই প্রত্যাশা রাখি।

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষের মূল্যবোধের জায়গাটা খুবই স্পর্শকাতর। নীতিনির্ধারকগণ সেটা আমলে নেবেন আশা রাখি।

এদিকে গত ১১ আগস্ট নিজের ফেসবুক পেজে অনেকগুলো কার্ড শেয়ার করে নিজের স্বপ্নের বাংলাদেশের বিবরণ দেন আজহারী।

এসব কার্ডে তিনি লিখেছেন, ‘আপনি বদলে গেলেই বদলে যাবে দেশ। তাই নিজেকে দিয়েই হোক পরিবর্তনের সূচনা।’ ‘রাজনীতিতে আসুক যুগান্তকারী সব পরিবর্তন। অন্যায় আর অরাজকতার পুনরাবৃত্তি না ঘটুক নতুন ভোরের বাংলাদেশে।’ ‘বন্ধ হোক স্বজনপ্রতি, ঘুষ, তদবিরসহ যাবতীয় লেজুড়বৃত্তিপনা। চাকরিসহ সবখানে ঘটুক মেধার সম্মিলন। মেধাই হোক নিয়োগের মাপকাঠি।’ ‘ছাত্র রাজনীতির ব্যানারে শিক্ষাঙ্গন থেকে বিলোপ সাধন হোক সব অনিয়ম ও র‌্যাগিং কালচারের। যে হাত কলম ধরে, সে হাতে স্পর্শ না লাগুক অস্ত্রের।’ ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুধু সাংস্কৃতিক চর্চা নয়, গবেষণামূলক নবজাগরণ সৃষ্টি হোক।’ ‘জনগণের জন্য তৈরি হোক ‘জনতার মঞ্চ’ নামের ফোরাম যেখানে জনগণ সরাসরি প্রশ্ন করবে তাদের জনপ্রতিনিধিকে। জনপ্রতিনিধি/এমপি-মনন্ত্রীগণ সেসব প্রশ্নের জবাব দানে বাধ্য থাকবেন।’ এমন ৪০টির বেশি কার্ড শেয়ার করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  বাঁধনকে নিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্ট

আর প্রথম কমেন্টেসে আজহারি লেখেন, ‘রাষ্ট্রের পরিবর্তন শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করে না, বরং ব্যক্তিগত উদ্যোগের ওপরও অনেকাংশে নির্ভর করে। যখন একজন ব্যক্তি নিজেকে বদলাবে, তখন তার পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। নিজেকে বদলানো মানে নিজের চিন্তাভাবনা, আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি পরিবর্তন করা। ব্যক্তিগত পরিবর্তন থেকেই সামাজিক পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রের পরিবর্তন সম্ভব। আপনি বদলে গেলেই বদলে যাবে দেশ। তাই নিজেকে দিয়েই হোক পরিবর্তনের সূচনা।’

আরও পড়ুনঃ  পদোন্নতি পেলেন সেই সারোয়ার আলম

মিজানুর রহমান ঢাকার ডেমরায় অবস্থিত দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০০৪ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০০৬ সালে আলিম পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভ করেন। ২০০৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত মিসর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট করার জন্য মিসরে যান। সেখান থেকে ডিপার্টমেন্ট অব তাফসির অ্যান্ড কোরআনিক সায়েন্স থেকে ২০১২ সালে শতকরা ৮০ ভাগ সিজিপিএ নিয়ে অনার্স উত্তীর্ণ হন। মিসরে পাঁচ বছর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করার পর ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া যান। সেখানে গার্ডেন অব নলেজ খ্যাত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব কোরআন অ্যান্ড সুন্নাহ স্টাডিজ থেকে ২০১৬ সালে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করেন।

আরও পড়ুনঃ  সোশ্যাল মিডিয়ায় নাটকীয়তার পর হাসনাতের বিয়ে

সর্বশেষ সংবাদ