Tuesday, August 12, 2025

মোজাম্মেল, শ্যামল ও শাহরিয়ার ৭ দিনের রিমান্ডে

আরও পড়ুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পৃথক হত্যা মামলায় সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্ত এবং ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবিরকে ৭ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ।

শান্তিনগরে গৃহকর্মী লিজা হত্যা মামলায় এদিন মোজাম্মেল বাবু ও শাহরিয়ার কবিরকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন রমনা থানার এসআই পায়েল হোসেন। আর রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে আসামির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন বিচারক।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গত ১৮ জুলাই শান্তিনগরের একটি ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন গৃহকর্মী লিজা আক্তার। এর মধ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়া হয়।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে আদালতে পলকের কান্না, যা জানালেন আইনজীবী

এর মধ্যে লিজার পেটে একটি গুলি লাগলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেন গৃহকর্তা আতিকুর রহমান। পরে ২২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিজার মৃত্যু হয়।

এদিকে রাজধানীর ভাষানটেক থানার ফজলু হত্যা মামলায় সাংবাদিক শ্যামল দত্তের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে একই আদালত।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ভাষানটেক থানারেএসআই সাহিদুল বিশ্বাস। আর রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে আসামির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন বিচারক।

আরও পড়ুনঃ  বিমানবন্দরে স্বামীসহ আ.লীগ নেত্রী আটক

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল করতে যান ফজলু। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরপুর ১৪ নম্বর মোড়ে দিগন্ত ফিলিং স্টেশনের সামনে ফজলুর ওপর গুলি ছোড়া হয়।

ওই গুলি কোমড়ের একপাশে লেগে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে গেলে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ফজলুকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার ভোরে সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও শ্যামল দত্তকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু সম্পাদকদের একটি সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি। আর দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে রিট

একইদিন রাতে বনানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শাহরিয়ার কবিরকে। তিনি দীর্ঘদিন থেকে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যক্রম নিয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। ১৯৯৪ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর তিনি কমিটির সভাপতি হন। ২০২৪ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাকে উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি করা হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ