Wednesday, March 19, 2025

টিউলিপের বিনামূল্যের ফ্ল্যাট: তদন্তে বেরিয়ে এলো অজানা তথ্য

আরও পড়ুন

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট উপহারের তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অনিয়মের অজানা তথ্য। টিউলিপকে দেয়া উপহারের বিনিময়ে ঢাকায় শেখ রেহানার কাছ থেকে ফ্ল্যাট নিয়েছিলেন ববির উকিল বন্ধু ব্যারিস্টার মঈন গণি।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মনে করে, কালো টাকা সাদা করতেই এমন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল শেখ হাসিনা পরিবার।

রাজধানীর সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন ভিলার ২০৬ নম্বর ফ্ল্যাটটির রেজিস্ট্রার নথিতে মালিকানায় এখনও আছেন শেখ রেহানা সিদ্দিক। এই বাড়িটিসহ একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট জব্দ করতে যাচ্ছে দুদক।

দুদকের ডিজি আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, স্থাবর সম্পদ যেন অন্য জায়গায় স্থানান্তর, হস্তান্তর বা বেহাত হতে না পারে, সেজন্য আদালতে আবেদন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ইসলামী দলগুলো কি ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে?

তবে দীর্ঘদিন ধরে ফ্ল্যাটটির ভাড়া আদায়সহ সার্বিক বিষয় দেখভাল করেন ব্যারিস্টার মঈন গণি। বাসার কেয়ারটেকার রিপন বলছেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে মঈন গণিকে হস্তান্তর করেছেন শেখ রেহানা।

কেয়ারটেকার বলেন,
জানতে চেয়েছিলাম যে এটা তো ম্যাডামের ফ্ল্যাট। তো কীভাবে কাজ হচ্ছে? এটা তো আমাকে বলা হয়েছে, এখন ব্যারিস্টার মঈন গণিকে এটার পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেয়া হয়েছে।

কে এই ব্যরিস্টার মঈন গণি? দুদকে বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা তথ্য বলছে, মঈন গণি ছিলেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির বন্ধু। আর সেই সুবাদে এই আইনজীবী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আইনি পরামর্শক হিসাবে কাজ করতেন। পাশাপাশি বাগিয়ে নিয়েছেন নানা সুযোগ-সুবিধা।

আরও পড়ুনঃ  সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনও প্রধানমন্ত্রী: রুমিন ফারহানা

কয়েক মাস আগে লন্ডনে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট উপহারসহ তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে উত্তর লন্ডনে ফ্ল্যাটটি টিউলিপের ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিককে উপহার দিয়েছিলেন মঈন গণি, যা ব্যবহার করতেন টিউলিপ। একইভাবে লন্ডনে আরও একটি ফ্ল্যাট উপহারের পেছনেও মঈন গণির যোগসূত্র পেয়েছে দুদক।

শেখ হাসিনা পরিবারের অবৈধ সম্পদ অর্জনে কারা কীভাবে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে দুদক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক প্লট-ফ্ল্যাট থাকার পরও নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছে পরিবারটি।

আরও পড়ুনঃ  সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না : ওয়াকার-উজ-জামান

দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. শাহজাহান সাজু বলেন,
৩২ নম্বরের বাড়ি, ৩ নম্বরের বাড়ি, তারপর শেখ রেহানার বাড়ি– এমন সবার নামেই তো বাড়ি আছে! বাড়ি না হলেও শয়তানি বুদ্ধি একটা আছে, সেটা হচ্ছে অন্য কাউকে দান করে দিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়। নিজে দান করে নিঃস্ব হয়ে আরেকটা বাড়ি নেয়া– এটা তো মানুষের কোখে ধূলা দেয়ার একটা গেইম।

সম্প্রতি হাসিনা পরিবারের সাত প্লট-ফ্ল্যাট ও ১২৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

সর্বশেষ সংবাদ