Monday, July 14, 2025

রাগে ফুঁসছে ছাত্র-জনতা, ভারতীয় পণ্য-মিডিয়া বর্জনের ডাক

আরও পড়ুন

ভারতের আগরতলার ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। সমাবেশ থেকে ভারতীয় পণ্য ও মিডিয়া বর্জনের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি ভারত ষড়যন্ত্র বন্ধ না করলে বাংলাদেশের সব ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটি এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ভারতকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এর আগে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে এসে সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটি রংপুরের সদস্য সচিব আলমগীর নয়ন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা আহ্বায়ক ইমরান হোসেন, মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি, জেলা সদস্য সচিব ডা. আসফাক আহমেদ জামিল, মহানগর সদস্য সচিব রহমত, জেলা মুখপাত্র ইয়াসির আরাফাত, মহানগর মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার প্রমুখ।

আরও পড়ুনঃ  কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ঘেরাওয়ের চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা

অন্যদিকে রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর পার্কের মোড়-সংলগ্ন শহীদ আবু সাঈদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পার্কের মোড় থেকে মডার্ন মোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।

সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন, রাকিব মুরাদ, রহমত আলি, ফাহিম ইয়ালমিন, আশিকুজ্জামান জয়, জাহিদ হাসান জয় প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে ভারতকে দিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। এরই অংশ হিসেবে ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে। আমরা মুসলমানরা সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। যতটুকু বেড়েছেন, সেখানেই থেমে যান। তা না হলে কঠোর পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভারতকে। শহীদ আবরার ও শহীদ আবু সাঈদের ভূখণ্ডে ভারতীয় আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না। দেশকে অস্থিতিশীল করতে ভারতীয় ষড়যন্ত্র এ দেশের ছাত্র-জনতা যেকোনো মূল্যে রুখে দেবে।

আরও পড়ুনঃ  ‘ভুল’ স্বীকার করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন!

বক্তারা আরও বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশের ভারতীয় কোনো দূতাবাস আস্ত থাকবে না। ভারতকে আগ্রাসী মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ এখন আর তাদের বুবু নেই। তারা বুবুকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে তা ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। এ সময় বক্তারা ভারতীয় মিডিয়া ও পণ্য বর্জন করার আহ্বান জানান দেশবাসীকে।

ছাত্রনেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকেই উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে । তা না হলে ভারত ইসকনকে দিয়ে উসকানির মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তারের পর ইসকন অনুসারীরা যেভাবে একজনকে খুন করেছে, দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। এ সময় সরকারকে ভারতের সঙ্গে আসাম চুক্তি ও ট্রানজিট নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলেও মন্তব্য করেন

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ